এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর সাথে অভিমান করে গায়ে কেরোসিন মেখে আগুন ধরিয়ে টুম্পা রাণী কোচ (২৪) নামের এক আদিবাসী গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। রোববার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার নলুয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী ধীগেন কোচকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার নলুয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ধীরেন কোচের মেয়ে টুম্পা রাণী কোচের সঙ্গে ২০১০ সালে একই গ্রামের চিমন্ত কোচের ছেলে পশু চিকিৎসক ধীগেন কোচের বিয়ে হয়। এদের সংসারে টয়ময় কোচ (৫) নামের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে জগড়া করে টুম্পা রাণী বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি চলেও গেছেন। বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বামীর বাড়ি পাঠিয়েছেন বাবা-মা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। রাত ১১ টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে ঘরের ভেতরেই টুম্পা রাণী শরীরে কেরোসিন মেখে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। টুম্পার আত্মচিৎকারে স্বামী ও বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে টুম্পার শরীরে পানি ঢেলে আগুন নিবিয়ে ফেলে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই টুম্পাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় টুম্পাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত দুইটার দিকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত টুম্পা রাণী কোচের বাবা ধীরেন কোচ বলেন, আমার মেয়ের খুব রাগ ছিল। একটু কথাতেই স্বামীর সঙ্গে অনেক সময় আমাদের সঙ্গেও অভিমান করতো।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জিঙ্গাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে।