টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের ২ নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চারজনকে কুমুদিনী ও একজনকে জামুর্কী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পোষ্টকামুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পোষ্টকামুরী গ্রামের মোতাহার হোসেনের ছেলে লাল মিয়া (৬২), দেলোয়ার হোসেন দলা মিয়া (৬০), স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৫), ছেলে সাজজাত হোসেন সবুজ (২৯) এবং দোলাল মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়া (২২)। এঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, পোষ্টকামুরী গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে দোলাল মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও মৃত সামছু মিয়ার ছেলেদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী লাল মিয়া ও দেলোয়ার হোসেনদের বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে পোষ্টকামুরী গ্রামে মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়। এতে কোন মীমাংসা না হওয়ায় উভয় পক্ষ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা এবং আদালতের আশ্রয় নেয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাহিদা বেগম, দেলোয়ার হোসেন ও সবুজ অভিযোগ করেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাচ্চু, দোলাল ও সামছু মিয়ার পরিবার তাদের সঙ্গে বিরোধ করে আসছিল। মীমাংসার জন্য গ্রামবাসী বহুবার চেষ্টা করে। কিন্তু বাচ্চু, দুলাল ও সামছুর পরিবারের লোকজন মীমাংসায় না এসে জোর পূর্বক তাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষ আদালতে মামলা করেছেন।
সবুজ মিয়ার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেলোয়ার হোসেন পৌরসভার আইন অনুযায়ী নকশা অনুমোদন সাপেক্ষে বাড়িতে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শনিবার সকালে বাচ্চু গংরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ভবনের কাজে বাঁধা এবং হামলা চালায়। এতে নারীসহ ৪ জন গুরুতর হয়। আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর উপজেলা জামুর্কীস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনিত ঘটলে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাচ্চু, দুলাল ও সামছুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন, লাল মিয়া ও সবুজ গংরা তাদের সীমানায় পাকা ভবন নির্মাণের চেষ্টা করে। কাজে বাঁধা প্রদান করলে তারা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে দোলাল মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), বাচ্চু মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়া (২২) আহত হয়। পারভেজকে জামুর্কী হাসপাতালে ভর্তি এবং জাহানারা বেগমকে কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে দোলাল মিয়া জানান।
মির্জাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ‘উভয়পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’