এছাড়া কুমুদিনী কলেজ মোড়, সুপারি বাগান মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কালিবাড়ী মোড়, বটতলা, পৌর উদ্যানের সামনে, নিরালা মোড়, বেবীস্ট্যান্ড এলাকায় মাঝে-মধ্যেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নতুন বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশ থেকে হাসপাতাল গেট পর্যন্ত রাস্তার পাশে প্রায়ই বাসাইল-সখীপুর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের বাস পার্কিং করে রাখা হয়। যানজটে আটকা পড়লে অধিকাংশ সময় অটো চালকরা সেখানে যাত্রী নামিয়ে অটো ঘুরিয়ে অন্যদিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আটকা পড়ে যানজট আরো তীব্র হয়।

অটোর যাত্রী রাজু মিয়া বলেন, ‘যানজট নিরসনে দুই শিফটে অটো চলাচল করলেও শহরের যানজট কমেনি। এক্ষেত্রে যাত্রীদেরও দোষ রয়েছে। অনেকে পাঁচ-দশ টাকা ভাড়া দিতে একশ টাকার নোট দিয়ে থাকেন। অটো চালক রাস্তার পাশে রেখে ভাংতি দিতে গিয়েও যানজটের সৃষ্টি হয়।
কামরুল হাসান নামে অপর যাত্রী বলেন, ‘যত্রতত্র যাত্রী উঠা-নামা করা হয়। যাত্রী উঠা নামানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকলে যানজট কম হবে।
অটো চালক মো. শফিক মিয়া বলেন, দোষ আমাদের আছে। অটো চালকদের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলে অটো চালালে যানজট কম হবে। আর রাস্তার উপর পার্কিং বন্ধ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন বলেন, ‘শহরের যানজট নিরসনের জন্য তিন হাজার অটো দুই শিফটে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন সময় শহরের কিছু কিছু এলাকায় যানজট হচ্ছে। এর কারণ চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’