এম সাইফুল ইসলাম শাফলু: টাঙ্গাইলের সখীপুরে হাতিয়া রেঞ্জের আওতাধীন কালিদাস বিটের সংরক্ষিত বনের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা তিনটি কয়লা তৈরির কারখানা অবশেষে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই তিনটি কারখানার ১৯টি চুলা গুড়িয়ে দেয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) আল মামুন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই কয়লা কারখানার ওপর দেশ সেরা অনলাইন পোর্টাল” নিউজ টাঙ্গাইল” এ একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সখীপুর উপজেলা প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এর আগে সখীপুর থানা পুলিশ ওই তিনটি কারখানা ১টিতে অভিযান চালায় ।

অবশেষে সোমবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কালিয়ানপাড়া গ্রামে একটি ও ধুমখালী গ্রামে ১০০ গজের ব্যবধানে দুটিসহ মোট তিনটি কয়লা কারখানার ১৯টি চুলা টাঙ্গাইল জেলা নির্বাহী হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) আল মামুন, টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম , সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুর রহমানের উপস্থিতিতে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুড়িয়ে দেওয়ার সময় কারখানাগুলোর মালিক ও শ্রমিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।
উচ্ছেদকৃত উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকার কারখানাটির যৌথ মালিক ওই গ্রামের আবদুল জলিল ও আবদুল কাদের। অন্যদিকে ধুমখালী এলাকার দুটি কারখানার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের বলে জানা গেছে। তবে কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন ওই দুটি কয়লা কারখানা আমার দুঃসম্পর্কের এক আত্মীয়ের। ফলে এলাকার মানুষ হয়তো আমাকেই ওই কারখানার মালিক হিসেবে ভেবেছে। প্রকৃতপক্ষে ওই দুটি কয়লা কারখানার সঙ্গে আমার ও আমার পরিবারের কোনো সদস্যের কোনো সম্পর্ক নেই। কারখানা গুড়িয়ে দেওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি।
কালিয়ান পাড়া ওই কারখানার পাশের বাড়ির বিল্লাল হোসেন বলেন, এক বছর ধরে ওই কারখানায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সারাদিন আকাশ জুড়ে কালো ধোঁয়া দেখা যেত। এলাকার লোকজন সর্দি,কাশিসহ নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। কারখানাটি গুড়িয়ে দেওয়ায় নিউজ টাঙ্গাইল ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।