সম্প্রতি টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কয়েক দফায় বৃদ্ধিতে ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলাসহ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এতে করে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে অনেক এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ব্র্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যায়। এর ফলে মানুষদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
এ বছর ভয়াবহ বন্যায় ভাঙনের কবলে পড়েন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা দহ ভরাট ও কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের দিঘীকাতুলী-জাবরাজান গ্রামের মানুষ। বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেলে দুই উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে পড়ে চরম দুর্ভোগে। শুধু তাই নয়, বিকল্প রাস্তা না থাকায় উভয় পাড়ের সিএনজি, অটো-রিকশা ও ভ্যান চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েন যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায়।

দুই উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ভাঙন রাস্তা মেরামতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগিতা না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ ও যুবক টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনিরকে ফোনে জানান। পরে এমপির আশ্বাসে ও তার অর্থায়নে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবুর সহযোগিতায় প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন সাংসদ মনির।
ভাঙা রাস্তায় প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো নির্মাণ ব্যয় হয় ৪৫ হাজার টাকা। শতাধিক শ্রমিক ও স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার তরুণ ও যুবকরা দুই দিনে নির্মাণ করতে সক্ষম হয়। এতে করে আগের মতো দুই উপজেলার মানুষের মাঝে দীর্ঘ এক মাস পর স্বস্তি ফিরে এসেছে।