খালাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন ইব্রাহিম ও মাবর আলী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় আখড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে কাজ করার সময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয় হয় নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় আখড়াপাড়া গ্রামের মাহিদুল ইসলামের (২৭)। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে দুজনে ভালোবেসে রেজিস্ট্রিবিহীন বিয়ে করে সেখানে সংসার শুরু করেন। সম্প্রতি মাহিদুল গাজীপুর থেকে বাড়িতে চলে আসেন। গতকাল মঙ্গলবার মাহিদুল তার স্ত্রীকে ফোনে গ্রামের বাড়ি আনার কথা বলে রাতে বাঘবেড় গ্রামে নিয়ে আসেন এবং ভগ্নিপতি রহুল আমীন বাবুর পতিত বাড়িতে তোলেন।

সেখানে জন শূন্য বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে এসে একই গ্রামের আপন খালাতো ভাই আবদুল মালেকের হাতে তুলে দেন। পরে রাতভর স্বামী মাহিদুল ও খালাতো ভাই মালেক মিলে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ওই তরুণী প্রতিবাদ করলে উভয়ে মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ভোরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওই তরুণীকে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পুলিশে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।
পরে ওই তরুণী এলাকা থেকে আসতে চাইলে অভিযুক্ত মালেকের বাবা ইব্রাহিম তার দোকানে আটকে আপোষের কথা বলে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা চালায়। এ অবস্থায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিত তরুণীকে উদ্ধার ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী ইব্রাহিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মাহিদুল ও মালেক।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’