নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ২১ নভেম্বর উদযাপিত হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০। দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রতিবছরের প্রচলিত যেসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এবার সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী পরিদফতর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আজ দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০ উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একযোগে প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলগুলো।
আইএসপিআর জানায়, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা শনিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দেবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে ফুল দেবেন। তিন বাহিনী প্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এবং গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। গণভবনে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
আইএসপিআর আরও জানায়, বর্তমান করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভ‚ত পরিস্থিতির কারণে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সীমিত আকারে করা হবে। বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সদস্যদের ২০১৯-২০২০ সালের শান্তিকালীন পদক প্রদান অনুষ্ঠানসহ সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত¡াবধানে তিন বাহিনী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার সামগ্রী বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও অন্য নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা-উত্তরাধিকারীদের পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সুবিধাজনক সময়ে ‘শান্তিকালীন পদক’ প্রদান করবেন বাহিনী প্রধানরা। এ ছাড়াও এ বছর ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনী জাহাজসমূহ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বেতার আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘বিশেষ দূর্বার’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহে পরে পর্যায়ক্রমে সম্প্রচারিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার বাংলা ও ইংরেজি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।