স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সঙ্গে ছিল ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ও। এরমধ্যেই আসে সেই পরকীয়া প্রেমিকার পক্ষ থেকে ‘সারাজীবনের যৌনদাসী’ হয়ে থাকার প্রস্তাব। আর এই লোভেই ছুরি দিয়ে তিনবার কুপিয়ে পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীকে হত্যা করে ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা হরেশ পঞ্চল। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর জেরায় দোষ স্বীকার করেছেন হরেশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আহমেদাবাদ থেকে সামান্য দূরে জগৎপুরে। পোশাকের দোকানে কাজ করা হরেশের (৪০) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক ছিল স্থানীয় শিল্পা পঞ্চলের। শিল্পা ও হরেশ- দুজনেরই দুই সন্তানসহ সংসার রয়েছে। স্বামী দিলীপের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে যাওয়ায় মুক্তির উপায় খুঁজছিল শিল্পা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে বাপুনগরের বাসিন্দা গোপালের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় শিল্পা। কিছুদিন পর গোপালকে টোপ দিয়ে স্বামীকে মারার পরিকল্পনা করে মধ্যবয়সী ওই নারী। কিন্তু, রাজি হননি গোপাল। এরপরই হরেশের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করেন শিল্পা। হরেশকে রীতিমতো যৌন আকর্ষণে মোহিত করে তোলেন মধ্যবয়সী ওই নারী।
কিন্তু, ইতিমধ্যেই সন্তান-স্ত্রীসহ সংসার করা হরেশ শিল্পাকে বিয়ে করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। ‘আপত্তি নেই’ জানিয়ে শিল্পা আঁটে নতুন ফন্দি। হরেশকে বলেন, ‘বিয়ে করতে হবে না। সারাজীবনের জন্য তোমার যৌনদাসী হয়ে থাকব। কিন্তু, পরিবর্তে নিজ স্বামী দিলীপকে হত্যার শর্ত দেয় শিল্পা। লোভনীয় প্রস্তাব প্রথমে প্রত্যাখ্যান করলেও পরে মেনে নেয় হরেশ।
৩১ জুলাই জগৎপুরের থেকে কিছু দূরে একটি নির্জন এলাকায় দিলীপকে ডেকে পাঠায় হরেশ। দিলীপ এলে, ছুরি দিয়ে তার গলায় তিনবার কুপিয়ে হত্যা করে শিল্পার প্রেমিক। হত্যার পর মৃতদেহ খালে ফেলে দিয়ে চলে আসে হরেশ।
তদন্তে নেমে প্রথমে হরেশকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় ভেঙে পড়ে মধ্যবয়সী ব্যক্তি। স্বীকার করে যে শিল্পার প্রভাবেই খুন করেছে। এরপর গ্রেফতার করা হয় শিল্পাকেও।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।