নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বজনদের সাথে ঈদুল আযহার ছুটি কাটিয়ে ফের যান্ত্রিক ও কোলাহল জীবনের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের চাপ। বাড়ি যাওয়ার পথে কখনো যানজট, কখনো ভোগান্তি ও কখনো ধীরগতি এবং আবার কখনো ছিল স্বস্তি। তবে, ফেরার ব্যাপক স্বস্তিদায়ক বলে জানিয়েছেন কর্মজীবীরা।
শুক্রবার (২১ জন) বিকালে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন এলাকাঘুরে দেখা যায়, সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে হাতিয়া পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। তবে, স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। কোথাও যানবাহন যানজট নেই। অপরদিকে, অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
কর্মস্থলে যাওয়ার পথে স্বস্তিদায়ক হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার দিকে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এলাকা ভিত্তিক চলাচলকারী তিন চাকার পরিবহনগুলো। বিশেষ করে ভাড়ায় চালিত সিএনজি চালকরা কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করছে। এতে করে হয়রানি ও অস্বস্তি প্রকাশ করে কর্মজীবীরা।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ভূঞাপুরের মোতালেব মিয়া। তিনি বলেন- ছুটি শেষ, শনিবার সকাল থেকে অফিস। তাই আজই চলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু সেতু পূর্ব থেকে গাজীপুর চন্দ্রা পর্যন্ত ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা। কি আর করার যেতে হবেই। স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০০ টাকা বেশি। তবে, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো যানজট দেখতে পাচ্ছি না।
কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেশ ট্রাভেলের চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। ঈদের আগে মহাসড়কের সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের কাজ চলমান থাকায় কিছুটা বিলম্বে পড়তে হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় ফিরতে পথে এই অংশে কোনো ধরণের যানজট নেই। তবে, মহাসড়কে কিছু কিছু এলাকায় ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া স্বস্তিতেই গাড়ি চালাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন- ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। মহাসড়ক ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী সকল যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলছে। এছাড়া মহাসড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, দুপুরের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এনিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে আজ শুক্রবার সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত সেতু পূর্ব ও পশ্চিমে ৩১ হাজার ২০৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং এর বিপরীতে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার ২৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।