বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ড ফেভারিট বলেই বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচে চাপে থাকবে। সময় সংবাদের কাছে এমনটাই মন্তব্য করেছেন টাইগারদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে এক বছর পূর্তিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই শুধু নয়, এবারের বিশ্বকাপে সাফল্যের দিক থেকে ইতিহাস গড়ার কথা জানিয়েছেন এই ইংলিশ কোচ। হাতুরাসিংহের যুগের পর ৬ মাস কোচ ছাড়া ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আর এই সময়টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড হন্যে হয়ে যুৎসই কোচের সন্ধানে ছিল। পরে একবছর আগে এমনই এক দিনে ৫৪ বছর বয়সী ইংলিশ স্টিভ রোডসের সাথে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কেমন কাটলো রোডসের বাংলাদেশে এক বছরের ক্রিকেট অধ্যায়? রোডস্ বলেন, এক কথায় দারুণ। দলে উন্নতির ছাপ কিন্তু স্পষ্ট।
বিশ্বকাপের আগে ট্রফি না জেতার আক্ষেপ মিটেছে। এই ক’বছরে আমি আমার পরিকল্পনাও গুছিয়ে নিয়েছি। আমার সংকল্প চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আরো কয়েকটি ট্রফি শো-কেসে জমানো। বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে একমাত্র ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস্। বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে প্রধান কৌসুলী তিনি। এবার তার স্বদেশ ইংল্যান্ডই প্রতিপক্ষ। এ এক ভিন্ন অনুভূতি। তবে সে প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে স্টিভ রোডস্ যা বললেন তাতে করে বাংলাদেশের সমর্থকদের মন জয় করে নেয়া যায়।
তিনি বলেন, যে কোনো কিছুর মূলে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারাতে চাই। আমাদের লক্ষ্য পরিস্কার। এ পথে যে আসবে, তাদের বিপক্ষে আমি সর্বোচ্চ মেধা আর শ্রম দিয়ে হারানোর প্রাণপণ চেষ্টা করবো। এতে বিন্দুমাত্র ছাড় হবে না। আমি পেশাদার, আমার কাছে আবেগের স্থান নেই। আর আমার ছেলেরাও মুখিয়ে আছে দারুণ কিছুর অপেক্ষায়। মাশরাফির সাথে কোচ স্টিভ রোডস্ও মানছেন এবারের আসরে ইংল্যান্ড হট ফেভারিট। আর এ সুবিধাটা নিয়েই প্রতিপক্ষের টুঁটি চেপে ধরতে চান স্টিভ।
তিনি বলেন, ইংল্যান্ড ফেভারিট বলেই ওরা চাপে থাকবে। ম্যাচের শুরুতে চাপে ফেলে ম্যাচ জিততে চাই আমরা। শুধু ইংল্যান্ডই নয়, এবারের বিশ্বকাপে দেখবেন, নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর সেই ইতিহাসের অংশ হবো আমি নিজেও।