নিউজ ডেস্ক: বিদ্যমান এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। অতীতে মান যাচাই না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে অভিযোগ করে মন্ত্রী নতুন করে মান যাচাইয়ের কথা জানান। রোববার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে ছাটাই প্রস্তাবের ওপর বক্তব্যকালে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এরআগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ১০ জন সংসদ সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব দেন।
ছাঁটাই প্রস্তাব দেয়া বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ছাটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তাদের দলগুলো দীর্ঘদিন এদেশে ক্ষমতায় ছিল। আমরা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার দেখেছি। তখনকার শিক্ষাখাতে বরাদ্দ, শিক্ষার মান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কেও আমরা অবগত আছি।
বিএনপির সরকারের আমলের এমপিওভুক্তির প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য তালিকা যখন দেখছি, দেখতে পাচ্ছি কোথাও কোথাও বৈষম্য হচ্ছে। কয়েকটি এলাকায় দেখছি যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার প্রাপ্যতা রয়েছে, তার থেকে বেশি সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকায় রয়েছে। পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তার সবই এমপিওভুক্ত। সেই এলাকাগুলো দেখলে এবং কখন এমপিওভুক্ত হয়েছে তা দেখলে দেখা যাবে, বিএনপি জামাতের সময়ে এগুলো এমপিওভুক্ত।
সে সময় কোনো কোনো প্রভাবশালী মন্ত্রী তার নিজের এলাকায় প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছেন। যেগুলো নিয়ম বিরুদ্ধে। মান যাচাই না করে নিয়ম বিরুদ্ধভাবেই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ছাত্র নেই, শিক্ষক নেই, কোনো প্রতিষ্ঠানের কিছুই নেই। কাজেই, সারাদেশে অতীতে যত এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে সরকারি করেছে। আর কেউ এটা করেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার যেভাবে এমপিওভুক্তি করেছেন। সেইভাবে আর কোনোদিন হয়নি।