গত ৭ জুন ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। বাজেট নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের মত থাকলেও বাজেট বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে বাজেট নিয়ে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো কেমন হবে সে সম্পর্কে।সেবা থেকে উন্নয়ন, বিভিন্ন খাতে রাষ্ট্রের নাগরিকরা যেসব ক্ষেত্রে যা পেতে চান বা রাষ্ট্র যে সেবা নিশ্চিত করতে চায় তা বাজেটের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে কর আরোপ না করায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। এছাড়া এ বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পূর্বে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বলা যায়, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ ঠিকই নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে এই মাত্রা গ্রহণযোগ্য।প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের বেকার তরুণ সমাজের ওপর দৃষ্টিপাত করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে আশাব্যঞ্জক ভূমিকা রাখবে। আলোচিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী স্বশাসিত এবং স্বনির্ভর জেলা সরকারের যে প্রস্তাবনা রেখেছেন তা যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তাহলে দেশের উন্নয়ন আরো বেগবান হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। বাজেটের আরেকটি ইতিবাচক দিক, কৃষিতে বরাদ্দ ও ভর্তুকি বাড়ানোর প্রস্তাব। বিগত নয় বছরে কৃষিতে বাজেট বাড়ানোর ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, কৃষিজাত পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করা গেলে দেশ অনেক দিক থেকে লাভবান হবে। এই বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সাধারণ ও গরিব মানুষকে রক্ষা করবে এই বাজেট। গরিব মানুষ উপকৃত হবে এই বাজেটের মাধ্যমে।সার্বিক বিবেচনায় বলা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের জনমানুষের আশা আকাঙ্খার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদান করা শপথগুলোও বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বাজেটকে কোনোভাবেই উচ্চাভিলাষী বলা যাবেনা বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।