শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩
Homeজাতীয়খুলনার ৩৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

খুলনার ৩৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

নিউজ ডেস্ক:

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শেষ দিকে বা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে হবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে নাকি সহায়ক সরকারের অধীনে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। কিন্তু এরমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ে মাঠ জরিপ শুরু করে দিয়েছে।

দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি গত নির্বাচন বর্জন করলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে আসছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকাও করছে দলটি। প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনের জন্য ৯ শতাধিক প্রার্থীর তালিকা করেছে দলটি। এই তালিকায় চলবে আরো সংযোজন বিয়োজন।

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এ পর্বে থাকছে খুলনা বিভাগের প্রার্থী তালিকা। এই বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য তালিকায় স্থান প্রাপ্তরা হলেন:

খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা):জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা লাতিফুর রহমান লাবু।

খুলনা-২ (সদর থানা ও সোনাডাঙ্গা): মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেদ এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও আরেক সাবেক এমপি আলী আজগর লবী।

খুলনা-৩ (খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা): মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এসএম আরিফুর রহমান মিঠু, সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম বকুল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সেকেন্দার ডালিম, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি, খুলনা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামও নির্বাচনের মনোনয়ন লাভের জন্য কাজ শুরু করেছেন।

খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া):বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, আইটি বিষয়ক সম্পাদক শাহ কামাল তাজ ও জেলা সভাপতি শফিউল আলম মনা, শরীফ শাহ কামাল তাজ ও বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা): জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরোয়ার। তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় আগামী নির্বাচনে আসনটিতে মনোনয়ন পেতে আগে ভাগেই মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. গাজী আবদুল হক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. মামুন রহমান।

খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা): কয়রা থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. স.ম বাবর আলী, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক।

বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট): সাবেক এমপি জেলা বিএনপি বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা শেখ মুজিবর রহমান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।

বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া): জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম।

বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মংলা): জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম।

বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ ও শরনখোলা):জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও সহ-সভাপতি এম এ খালেক।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা): সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব, খুলনা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।

ঝিনাইদহ-২ (হরিণাকুন্ডু ও সদরের কিছু অংশ):জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মশিউর রহমান।

ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর):মহেশপুর থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক এমপি মরহুম শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মেহেদি হাসান রনি, কোটচাঁদপুর থানা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কোটচাঁদপুর থানা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদ রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান মোমিন।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের বাকি অংশ):সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান বেল্টু ও বউ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।

মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর): সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ।

মেহেরপুর-২ (গাংনী): সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সহসভাপতি জাবেদ মাসুদ মিলটন।

যশোর-১ (শার্শা): এখানে জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু , সাধারণ সম্পাদক হাসান জহির ও সহ সাধারণ সম্পাদক মহাসিন কবির সম্ভাব্য প্রার্থী।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা): ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান (আলোচিত বিএনপি নেতা প্রয়াত নাজমুল ইসলামের স্ত্রী) সাবিরা নাজমুল মুন্নী, জেলার সহ-সভাপতি অ্যাড. ইসহক, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, চৌগাছার সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও ঝিকরগাছার সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা এলাহী টিপু।

যশোর-৩ (সদর): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, (অসুস্থতার কারণে তরিকুল ইসলাম প্রার্থী না হলে তার স্ত্রী ও জেলার সদস্য নার্গিস বেগম, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অথবা জেলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া): বাঘারপাড়া সভাপতি বিএনপি টিএস আইয়ুব, অভয়নগর বিএনপি সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান ও ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।

যশোর-৫ (মনিরামপুর): এ আসনের সম্ভাব্য শক্তিশালী প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি ওয়াক্কাস। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন মণিরামপুরের সভাপতি অ্যাড. শহীদ ইকবাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মুসা, জিয়া পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব শরিফুজ্জামান খান।

যশোর-৬ (কেশবপুর): বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেশবপুরের সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস।

মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের কিছু অংশ): জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কবির মুরাদ, জেলার সদস্য মনোয়ার হোসেন খান ও স্থানীয় নেতা ইকবল আক্তর খান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল।

মুগুরা-২ (মহম্মদপুর ও সদরের বাকি অংশ):বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সালিমল হক।

সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া): সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও তালা উপজেলা ছাত্রদলের প্রাক্তন সভাপতি বদিরুজ্জামান বদরু।

সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর): জেলা বিএনপির সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ, সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম ও পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেওয়ার চেস্টা করছেন।

সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের চারপি ইউনিয়ন): নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহীদুল আলম, সাবেক এমপি আলহজ্ব কাজী আলাউদ্দিন ও বিএনপি নেতা অ্যাড. বরুন বিশ্বাস।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের আটটি ইউনিয়ন): সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা বিএনপি অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী।

নড়াইল-১ (কালিয়া ও সদরের কিছু অংশ):জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর ও সাবেক ছাত্র নেতা গৌতম মিত্র।

নড়াইল-২ (লোহাগড়া ও সদরের বাকি অংশ):সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. কাদের শিকদার, সাবেক পৌর মেয়র জুলফিকার আলি মন্ডল ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর): সাবেক এমপি উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু ও জেলা বিএনপির সদস্য আলতাফ হোসেন।

কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা ও মিরপুর): সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহিদুল ইসলাম ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাকিব রোফ চৌধুরী, মহিলাদল নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর): জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরব উদ্দিন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীমুল হাসান অপু, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী ও খোকশা): সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদি হাসান রুমি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনসার আলি এবং সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম প্রামানিক।

চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদরের কিছু অংশ): বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, দুদুর ভাই ও বিলুপ্ত জেলা কমিটির ১ন যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সদস্য লে. ক. (অব.) কামরুজ্জামান, শরিফুজ্জামান শরিফ।

চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের বাকি অংশ): জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহ্বায়ক মাহামুদুল হাসান খাঁন বাবু ও সদস্য মোখলেচুর রহমার টিপু তরফদার।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -