এক দিনের ভ্রমণের জন্য আদর্শ স্থান টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী। পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি তিন মহলের। প্রতিটি মহলের রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য, রয়েছে লতাপাতার চমৎকার কারু কাজ মুগ্ধ করার মতো। কাছাকাছি আছে নাট মন্দির, কালী মন্দির আর একটি বিশাল পুকুর।
নাগরপুর সদরে আছে চৌধুরী বাড়ি, যার ভেতর মহলের নাম পরীর দালান আর পশ্চিম পাশে আছে ঘোড়ার দালান। ৫৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ জমিদার বাড়িতে আরো সাত-আটটি ভবন রয়েছে। দক্ষিণ দিকে আছে বিশাল দীঘি, নাম উপেন্দ্র সরোবর। রায় বাহাদুর সতীশ চৌধুরীর বাবার নামে এ নামকরণ। এর পর যাওয়া যায় গয়হাটা উদয়তারা সমাধি সৌধে। অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে জমিদার কালিকুমার চৌধুরী তাঁর মায়ের সমাধির ওপর নির্মাণ করেন এ সৌধ। উচ্চতা প্রায় ৩০০ ফুট। এটি গয়হাটা মঠ নামে পরিচিত।
অবস্থান: পাকুটিয়া ইউনিয়নের সামনে অবস্থিত।এখানে রাত্রিতে থাকা খাওয়া সুব্রবস্থা আছে।পাকুটিয়া বি.সি.আর.জি ডিগ্রী কলেজটি পাকুটিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জমিদার বাড়ীতে অবস্থিত।
জানা যায়, ইংরেজ আমলের শেষ দিকে এবং পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তৎকালীন বৃটিশ রাজাধানী কলকাতার সাথে মেইল স্টিমারসহ মাল এবং যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু ছিল। এক পর্যায়ে নাগরপুরের সাথে কলকাতার একটি বানিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে পশ্চিম বঙ্গ কলকাতা থেকে আসেন রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল (ধনাঢ্য ব্যক্তি)। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তিনি পাকুটিয়ায় জমিদারী শুরু করেন। প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে একই নকশার পর পর তিনটি প্যালেস বা অট্টালিকা নির্মাণ করা হয় (১৯১৫)। তখন জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল।
যেভাবে যাওয়া যায়: ঢাকা থেকে ঢাকা-আরিচা রোডে কালামপুর স্ট্যান্ড হতে সাটুরিয়া হয়ে সোজা উত্তরে ১৫কি.মি এলেই পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী । এবং টাঙ্গাইল শহর হতে দক্ষিণে দেলদুয়ার হয়ে লাউহাটি এবং লাউহাটি হতে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী।
পাকুটিয়া বি.সি.আর.জি ডিগ্রী কলেজটি পাকুটিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে জমিদার বাড়ীতে অবস্থিত। কলেজ ভবন পুরাতন ১টি ২য় তলা। নতুন ভবন ২টি। এর একটি ৪ তলা এবং একটি ২য় তলা। তাছাড়া ছাত্রাবাস ১টি এবং ১টি শিক্ষকদের বসবাসের জন্য রয়েছে। কলেজটিতে বিশাল বড় একটি মাঠ রয়েছে এবং বিশাল বড় ২টি পুকুর রয়েছে। যেহেতু কলেজটি জমিদার বাড়ীতে অবস্থিত সেহেতু কলেজটি সহ কলেজের জায়গা দেখতে পার্কের মত। অাশা করছি অাপনার ভ্রমণ হবে সত্যি অসাধারণ।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।