নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের চাকুরি জাতীয়করণের ঘোষণা না দিলে জানুয়ারিতে তালা ঝুলবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বও পালন করবেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা। এছাড়া আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব এবং আদমশুমারীসহ কোনো দায়িত্বই পালন না করার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা। সর্বমোট দশ দফা দাবী পেশ করেছে।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারির চাকুরি জাতীয়করণের দাবীতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব হুমকি দেন নেতৃবৃন্দ। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকুরি জাতীয়করণের ঘোষণা না এলে জানুয়ারি থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিরাম ধর্মঘট সহ কর্মবিরতি এবং পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুমকি দেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও শিক্ষক -কর্মচারি সংগ্রামী ঐক্যজোটের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ নজরুল ইসলাম রনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সব সংগঠনকে নিয়ে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারিদের চাকুরি জাতীয়করণের দাবীতে জাতীয় ঐক্য মঞ্চ করার ঘোষণা দেন।
তাছাড়া ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা,অবসর-কল্যাণের টাকা ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান, শিক্ষকদের চাকুরী ৬৫ বছর, বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ প্লট/ফ্ল্যাট, শিক্ষকদের জন্য আলাদা ব্যাংক, ভিআইপি হিসেবে মর্যাদা ও বদলির দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। অনলাইন এমপিওভুক্তিতে চার স্তরের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে এমপিওভুক্তির জন্য দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবুল বাশার হাওলাদার, মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াজোঁ কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ ইদ্রিস আলী ও বাশিইউ-এর অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার, বাশিস-এর মহাসচিব মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুধু নিজেদের স্বার্থে হঠাৎ গজিয়ে ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি ফোরামের’ যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলামসহ তিনজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।