নিজস্ব প্রতিবেদক: এক ছাদের নিচে সিংহ, বাঘ, হরিণ ও নানা ভয়ংকর প্রাণী। এসব বণ্যপ্রাণী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করছেন। তবে- তাদের মাঝে নেই কোনো ভেদাভেদ, শিকার ও আক্রমণের শঙ্কা। বিষয়টি অবাক হলেও এমন চিত্র এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে। তবে, এই প্রাণীগুলো জীবিত নয়।
শুধু তাই নয়- এখানে বাঘ, সিংহ ও হরিণের মতো আরও প্রাণীও রয়েছে। তাদের মধ্যে সাপ, শুকুন, ভাল্লুক, কুমির, বন গরু, বানরসহ প্রায় ৫ হাজারের অধিক বণ্যপ্রাণীর দেহ ও নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের দুর্লভ ছবিও রয়েছে। এসব নমুনা বণ্যপ্রাণী দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দেশি-বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
এদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনব্যাপী বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘর বিনামূল্যে প্রবেশ ফিতে পরিদর্শন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থী ও শিশু-কিশোররা। সংরক্ষিত এই বণ্যপ্রাণী বিনামূল্যে দেখার সুযোগ করে দেয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
দর্শনার্থী রেহানা পারভীন সুমি বলেন, ফেসবুকে দেখেছি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক জাদুঘরে ৫ হাজারের বেশি বণ্যপ্রাণীর নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তাই দেখতে আসা হয়েছে। এক ছাদের নিচে বাঘ, সিংহ, হরিণ ও সাপসহ অন্যান্য বণ্যপ্রাণী দেখতে পেরে ভাল লাগছে। এরআগে কখনো এতগুলো প্রাণী দেখা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মাহমুদ বলেন, প্রতিদিনই অসংখ্য পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসে। তাছাড়া বিশেষ দিন বা দিবসে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ শিশু, কিশোরসহ জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশ ফি করায় আরও বেশি সংখ্যক লোকজন আসে। তবে, সবধরণের মানুষের জাদুঘর পরিদর্শনে সহজ করলে আরও দর্শনার্থীরা জাদুঘর দেখতে আসবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা বলেন- বিশেষ দিনগুলোতে বিনামূল্যে সকলের জন্য জাদুঘর দেখার উদ্যোগ নিয়ে থাকে কর্তৃপক্ষ। যাতে করে সাধারণ মানুষ জাদুঘর দেখার সুযোগ পায়। জাদুঘরে প্রায় ৫ হাজারের অধিক বণ্যপ্রাণীর নমুনাসহ প্রচীনকালে কৃষিকাজে ব্যবহৃত নানা ধরণের সরঞ্জাম আছে। এসবের সঙ্গে শিশু-কিশোররা পরিচিত হতে পারবে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।