টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধর্ষণ করতে গিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বুলবুলি বেগমের হাতে খুন হয়েছেন মিজানুর রহমান (৩৮) নামের এক ব্যক্তি।
উপজেলার ভাদরা ইউনিয়নের গাংচিহালি গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। মির্জানুর রহমান একই এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে। বুলবুলি ওই গ্রামের বই বাঁধাই শ্রমিক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। সোলায়মান নামে তার ৪ বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনায় শিশু পুত্রসহ ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, গাংবিহালী গ্রামের সাইফুল ইসলাম ঢাকায় পুস্তক বাঁধাইয়ের কাজ করেন।
ঘটনার দিন গৃহবধূর স্বামী সাইফুল বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাসুর মিজান রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে উপায় না পেয়ে গৃহবধূ তার ঘরে থাকা লোহার শাবল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ভাসুর মিজান মারা যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গৃহবধূ বুলবুলি জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতেন ভাসুর। সেই সঙ্গে সুযোগ পেলেই ভাসুর তাকে যৌন নিপীড়ন করতেন। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে একাধিক শালিশ বৈঠক হলেও নিজেকে সংশোধন না করে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন মিজানুর।
নিজের সতীত্ব রক্ষায় বাধ্য হয়ে তাকে আঘাত করেছি। তবে আঘাতটিতে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।