মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১, ২০২৫
Homeটাঙ্গাইল জেলামির্জাপুরটাঙ্গাইলে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা করায় নারী গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা করায় নারী গ্রেপ্তার

নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন যুগবাণী সমাজকল্যাণ নামে এক এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার তানজিরু হাসান জীবন ও ওই অফিসের স্টাফ আফিয়া বেগম।

ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা করায় দুই নম্বর আসামি আফিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম রুবির স্ত্রী।

আজ বুধবার দুপুরে ওই কলেজছাত্রী টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সামাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জীবনের সঙ্গে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় বাসে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তিনি নিজেকে একটি ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।

তিনি ওই  কলেজছাত্রীকে তার অফিসে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোন নম্বর নেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বেড়ে যায়। গত রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে জীবন তার অফিসের স্টাফ আফিয়াকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে তার অফিসে ডেকে নেন। সেখানে তার অফিস কক্ষে অন্য কেউ না থাকায় ছাত্রীর সন্দেহ হয়। এ সময় তিনি অফিস কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে জীবন তার হাত ধরে কক্ষের দরজা আটকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায় ওই ছাত্রী কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলেও নিচে নামার দোতলার গেটটি বন্ধ পান। এ সময় জীবন তার পিছু নিলে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করলেও গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় জীবন পালিয়ে যান।

এদিকে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ায় ছাত্রীর কোমরের হাড় ভেঙে গেছে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথুন রায় জানিয়েছেন। তিনি এ বছর টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বাসাইল উপজেলার সাদীহাটী গ্রামের তানজিরু হাসান জীবন ও আফিয়া বেগমকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ দুপুরে আফিয়াকে পাকুল্যা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সামাদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আফিয়া বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া কলেজছাত্রী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছেন।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -