নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝর্ণা রানী দাস নামে এক নারীকে হত্যা করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখার দায়ে চাচি-ভাতিজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হচ্ছেন- বাসাইল উপজেলার সদরের পূর্বপাড়ার শাহাদত বেপারীর স্ত্রী মনোনয়ারা আক্তার (৩০) এবং মজিবর বেপারীর ছেলে উজ্জ্বল ইসলাম (২৭)। তারা সম্পর্কে চাচি-ভাতিজা।
আদালতের নাজির লিটন মজুমদার জানান, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নিহত ঝর্ণা রানী পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য একই এলাকার মনোয়ারা আক্তারের বাড়িতে যান। এতে মনোয়ারার সঙ্গে ঝর্ণা রানী দাসের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় মনোয়ারার ভাতিজা উজ্জ্বল এসে ঝর্ণা রানীকে মনোয়ারার ঘরের ভেতরে নিয়ে দুজনে মিলে গলায় ফিতা পেঁচিয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার জন্য মনোয়ারার ঘরে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় পরের দিন ২৯ অক্টোবর নিহতের স্বামী সুনীল কুমার দাস বাদি হয়ে বাসাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ মনোয়ারা ও তার ভাতিজা উজ্জলকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা এবং মরদেহ গুম করার জন্য মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে।
এরপর পুলিশ মনোয়ারার ঘরের ভেতর মাটিতে পুঁতে রাখা ঝর্ণা রানী দাসের মরদেহ উদ্ধার করে। রায় ঘোষণার পর বিচারক দণ্ডিত চাচি-ভাতিজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।