নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে বিড়িশিল্পকে বাঁচাতে এবং বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিড়িশ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বরাবর ৪ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধ করা, অবৈধ সংগঠনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ন্যূনতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়িশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লুৎফর রহমান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়িশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিড়িশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক বিড়িশিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন অবৈধ সংগঠন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করতে বিড়ির কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।
দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়িশিল্প রক্ষার্থে এসব অবৈধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো নানাভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে থাকে যা বিভিন্ন সময়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। শুল্ক ফাঁকিসহ তাদের সকল প্রকার আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন এই কুঠিরশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিড়ির মূল্য বৃদ্ধি ও মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাকেন। এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
ফলে বিড়ি শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে নূন্যতম ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করতে হবে। একইসঙ্গে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধির জোর দাবি জানাচ্ছি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।