নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধু শিরিন আক্তারকে মধ্যযুগিয় কায়দায় স্বামী ও স্বামী পরিবারের নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসিসহ নির্যাতিতের পরিবার। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার এর সহ-সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন, বেসরকারি এনজিও সংস্থা সুপ্র টাঙ্গাইল’র নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরাণী প্রামানিক, ব্লাস্ট এর সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট খন্দকার আমিনা রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রায় বিশ বছর পূর্বে কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামের বজলুর রহমান ভোলার সাথে ইসলামী শরীয়ত মতে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হন শিরিন আক্তার। এ দাম্পত্য সময়ে তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে বড় ছেলে বয়স ১৭ ও ছোট ছেলের বয়স ১২ বছর। এ সময় স্বামী বজলুর রহমান ভোলাকে যৌতুক বাবদ ৩ লাখ টাকা দেন গৃহবধুর দরিদ্র পিতা। এ স্বত্তেও পরবর্তিতে আরো ৫ লাখ দাবী তুলেন স্বামী ও তার পরিবার। এ যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন। এরই মাঝে স্বামীর গতিবিধি ও কথাবার্তার কারণে তিনি জানতে পারেন স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়টি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার উপর চালানো হয় আরো অমানষিক নির্যাতন। এ প্রতিবাদের ক্ষোভে স্বামী বজলুর রহমান ভোলা ছোট ছেলেকে নিয়ে তার বোনের বাসায় বসবাস শুরু করেন। গত ৮ অক্টোবর তার স্বামীর বোন রেহেনা বেগমের বাড়িতে ছোট ছেলেকে দেখতে ডেকে পাঠান। এ সুযোগ নিয়ে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন গৃহবধু শিরিন আক্তারকে গাছে বেধে মধ্যযুগিয় নির্যাতন চালায়। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে গৃহবধু শিরিন আক্তার চিকিৎসাধিন রয়েছে। বর্বরচিত এ নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন পালন করাসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নির্যাতিত পরিবার এবং গ্রামবাসি।