শনিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
Homeটাঙ্গাইল জেলাটাঙ্গাইলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াতে জামায়াতের তদবির!

টাঙ্গাইলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াতে জামায়াতের তদবির!

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের হাতে আটক হওয়া টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মানিক বাবু ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইলকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তদবির করছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদের অফিস রুমে বসে থাকতে দেখা যায়।

জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানান, তাদের দুইজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। তাই তাদেরকে ছাড়াতে তারা থানায় এসেছেন। আটককৃতরা অতীতে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে তারা স্বীকার করেন।

জানা যায়, বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দু’জনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এছাড়া মানিক বাবু ২০১৯ সালের টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের অনুমোদিত আহবায়ক কমিটির তালিকায় ২০ নম্বর সদস্য রয়েছেন।

টাঙ্গাইল পৌর শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, একজনে এক দল করতেই পারে, কিন্তু আটককৃতরা ২০১৯ সালে তাদের দলের সহযোগী কর্মী হয়। অন্য দলের কর্মী হলে তারা ছাড়াতে থানায় অসবেন কেন?

টাঙ্গাইল জেলা শাখা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন, যে দু’জন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী, এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো। তবে, এখন তারা আমাদের দলের কর্মী।

টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, আটককৃতরা দীর্ঘদিন আগে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। এরপর থেকে তারা আমাদের দলের হয়ে কাজ করছে এবং দলের সক্রিয় সদস্য। জুলাই-বিপ্লবের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করেছে যোগ করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, জামায়াতের লোকজন দাবি করছে তাদের কর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। এছাড়াও মানিক বাবু নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করছে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের দু’জনকে গত ১৩ নভেম্বর দায়েরকৃত একটি মামলা (নং-১৮) সন্দিঘ্ন আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -