নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষক রেজাউল করিমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক রেজাউল করিম উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রেজাউল করিম ধর্ষণ করে। এর আগে ওই শিক্ষার্থীকে প্রায় ৬মাস আগ থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল রেজাউল করিম। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইলে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। পরে বাড়ির পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটি আর্তচিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ধর্ষককে আটক করে। পরে ধর্ষকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে জোরপুর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ধর্ষণের বিষয়টি স্থানীয় ফলদা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদুকে জানানো হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়িতে পার্শ্ববর্তি গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ও ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফসহ এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করে। পরবর্তিতে ধর্ষিতার পরিবারকে থানায় মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষিতার পিতা জাহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করে। সালিশে ধর্ষকের সাথে বিয়ের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। এঘটনায় থানায় মামলা না করার জন্য ধর্ষকসহ তার পরিবার নানাভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম কাউছার চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যানরা সালিশের আয়োজন করেছিল বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।