ডাক্তাররা ইচ্ছেমতো পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না…… হাইকোর্ট

0
130
News Tangail

নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নিবন্ধন ও অনুমোদন ছাড়া চিকিৎসকরা নামের আগে কোনো পদবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা একটি রিটের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন ও অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার।

হাইকোর্ট একই সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেশের সব অনুমোদন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ছয়জনের প্রতি লিগ্যাল নোটিস পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জেআর খান রবিন। নোটিসে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আইন মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের দাবি জানানো হয়। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয় নোটিসে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ রিট করা হয়।
আদেশের পর আইনজীবী রবিন বলেন, দ্য মেডিকেল প্রাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী, শর্তাবলি পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করবেন না। এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশই অনুমোদনহীন ও মানহীন। সেবা প্রদানের চেয়ে টাকা উপার্জনই মালিকদের উদ্দেশ্য। এ টাকা উপার্জনের মানসিকতার কারণে অনেক রোগী অপচিকিৎসার শিকার হয়।

তিনি বলেন, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়মনীতি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করানো হয়। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। আদালতের নির্দেশের ব্যাপারে আইনজীবী রবিন বলেন, অনেক ডাক্তারই পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন। যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনেক ডাক্তার ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড এমনকি প্রেসক্রিপশন প্যাডেও এসব প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অপচিকিৎসারও শিকার হয়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।