নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চারলেনের সড়ক থাকলেও এ মহাসড়কের টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দুই লেনের সড়ক। এরমধ্যে চারলেন উন্নতকরণ প্রকল্পের কাজও চলছে। আবার প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যার ফলে যানজট, গাড়ির দীর্ঘ সারিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (৯ জুন) রাত ১টার দিকে মহাসড়কের কামাঙ্খা মোড় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চলন্ত পিকআপ সড়কে উল্টে পড়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে যায়। শনিবার (১০ জুন) ভোররাত হতে সকাল ১০ পর্যন্ত মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিবহনের দীর্ঘ সারির ফলে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ১০ টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
মহাসড়কে যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর হয়ে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে হয়ে এলেঙ্গা চারলেনে প্রবেশ করে। এই আঞ্চলিক সড়কে চলাচলের জন্য তিনটি স্থানে থেকে চাঁদা তোলা হয়। পাথাইকান্দিতে সেতু কর্তৃপক্ষের টোল, পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা ও ভূঞাপুর পৌরসভা কর্তৃক টোল আদায় করা হয়।
জানা গেছে, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত মহাসড়কের চারলেনের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই সড়কে পরিবহন বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মধ্যেরাতে মহাসড়কের কালিহাতীর কামাঙ্খা মোড়ে পরিবহণ বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনগুলো সরাতে সময় লাগে। ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের।
বঙ্গসেতু পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে মহাসড়কের কামাঙ্খা মোড় এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান উল্টে যায়। এতে দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ভ্যানটি সরাতে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এছাড়া মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবারও একই স্থানে একটি ট্রাক বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।