বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অবজারভেশন কক্ষে চিকিৎসারত মা পপি বলেন, গত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত দুই শিশু জান্নাত ও আলভীকে হত্যার পরিকল্পনা করি। প্রথমে আগুনে পুড়িয়ে ও পরে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করি তাদেরকে।
এমন রোমহর্ষক হত্যার ঘটনার কারন জানতে চাইলে পপি নিউজ টাঙ্গাইলকে বলেন, সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছিলাম না। সংসার চালাতে পারছিলাম না। স্বামী সংসার খরচ বাবদ মাত্র মাত্র ১ হাজার ১০০ টাকা দিতো। ওই টাকায় কিছুই ঠিকঠাক মত করতে পারছিলাম না। এসব বিষয় নিয়ে দিন দিন হতাশা বাড়তে থাকে, বেঁচে থাকার সকল আশা শেষ হয়ে যাচ্ছিলো দিন দিন। আর সেই হতাশা থেকেই দুই সন্তানকে খুন ও নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করি।
এদিকে, পপির বাবা আবু তালেব মৃত নাতিদের সম্পর্কে বলেন, খিলগাঁওয়ে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলে পড়াশোনা করতো তার দুই নাতনি জান্নাত (১২) ও আলভী (৭)। আলভী চতুর্থ শ্রেণিতে ও জান্নাত জুনিয়র ওয়ানে। মেধাবী দুই শিশুর বাবা মোজাম্মেল হোসেন বিপ্লব মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় ইলেকট্রিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। প্রতি শুক্রবার মুন্সিগঞ্জ থেকে খিলগাঁওয়ে আসেন আবার শনিবার মুন্সিগঞ্জে চলে যান।
রোমহর্ষক এ ঘটনার সম্পর্কে খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন নিউজ টাঙ্গাইলকে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মা পপিই দুই সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্বামী মুন্সিগঞ্জ থাকেন। সাংসারিক খরচ দেয়া না দেয়া নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত রাতে দুই সন্তানকে খুন করার পর পপি সকালে নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টার আগে তার বাবা তালেবকে দুই সন্তান খুনের বিষয়টি জানায়। পপি নিজের আত্মহত্যার ব্যাপারেও তার বাবাকে জানিয়েছিলেন।