ডেস্ক নিউজ:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এই জামিন মঞ্জুর করেন। তবে এদিন মামুনুল হককে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়নসহ অন্যান্য আইনজীবীরা মামুনুল হকের জামিনের পক্ষে শুনানি করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, জামিন চেয়ে আমরা বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট তুলে ধরেছি। রিপোর্টে বাদী বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় মামুনুল হকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান থাকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে বাদীর ছেলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তার মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের বিয়ে হয়েছে। আদালত সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
অন্যদিকে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আসামিপক্ষ মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য বারবার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করছে। এই পর্যন্ত তারা তিন দিন জেরা করেছেন। এরপরও আরও এক দিন সময় চেয়েছেন। তারা জানেন যে রায় তাদের বিপক্ষে যাবে, তাই এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন সকলেই মামুনুল এই ধর্ষণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।