নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে তারা। উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ৪৮নং সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অল্প বৃষ্টিতেই ঝুঁকিতে পড়েছে। বৃষ্টির পানি জমে বিদ্যালয়ের পাশে সৃষ্টি হয়েছে গভীর পুকুর। বর্তমানে নৌকা ছাড়া সারটিয়া গাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই।
গ্রামবাসীরা জানায়, সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যে রাস্তা আছে তা এক সময় ভাল ছিল। বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় পাইপ কালর্ভাট স্থাপনের পর বৃষ্টি ও বন্যার পানির স্রোতে রাস্তার মাটি ধ্বসে গিয়ে এখন বিদ্যালয়ের সামনে বড় পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে। এখন সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অথৈই পানি। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণকারী শতশত কোমলমতি শিক্ষার্থীর অনেকেই সাঁতার জানেনা। যে কোন সময় শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর বিদ্যালয় ভবনটিও ধ্বসে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বিদ্যালয়ে দুটি ভবন থাকলেও একটির অবস্থা জরাজীর্ণ ও অন্যটি ভাঙ্গন কবলিত। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাস করছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সামনে পুকুর সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে টিনিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও আমাদের গ্রাম যেন বাংলাদেশের মানচিত্রের বাইরে অবস্থান করছে। গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে উৎপাদিত ফসলের ভালো দাম পাইনা। নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ৪৮নং সারটিয়া গাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরী করবে সরকার, এমন প্রত্যাশাই করে সারটিয়া গাজী গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ঝুকির বিষয় নিয়ে স্থানীয় এমপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও কোন সুফল পায়নি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতি নাগরপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিদ্যালয়টির ও এর যোগাযোগের রাস্তার দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতিন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, আমাদের অফিসে কোন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় না। তবে আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঝুকির বিষয়গুলো অবগত করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।