নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক:
প্রেমের টানে সখীপুরে ছুটে আসা মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের ৪ টি সন্তান রয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে জুলিজার ফেলে আসা স্বামী মো: আজগর আলী এ দাবী করেন।
জুলিজার আগের স্বামী মো: আজগর আলী জানান, জুলিজার সাথে আমার ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয়। সে আসার সময় প্রায় ২ লক্ষ টাকা (বাংলাদেশ) নিয়ে আসেন। গত ৪ দিন আগে আমি ব্যবসায়িক কারণে বাসার বাহিরে থাকলে জুলিজা বাংলাদেশে চলে আসে। জুলিজার সর্বশেষ সন্তানের বয়স ১ বছর। এদিকে জুলিজার বাবা-মা বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মো: আজগর আলীর বাড়ি রাজধানীর ঝিগাতলায়। ১৯৯৬ সালে জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়ায় পারি জমান তিনি। সেখানে পরিচয় হয় জুলিজার সাথে। এরপর তারা ধর্মীয় রীতিমত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সেই সংসারে ৪ টি ফুটফুটে সন্তান আসে। সেই সন্তান এবং স্বামীকে ফেলেই বাংলাদেশে চলে আসেন লিজা।
জুলিজা শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকে তার প্রেমিক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে ছুটে যান টাঙ্গাইলের সখীপুরে। শুক্রবার সন্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেয় মনিরুলের পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান যুবতী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক হয় মনিরুলের। মনিরুল সখীপুরের সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই প্রেমের টানেই মালয়েশিয়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুলিজা বিনতে কাসিম মনিরুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।
জুলিজা বলেন, এদেশের প্রকৃতি ও মানুষকে তার খুব ভালো লেগেছে। খাবার খেতে তার কিছুটা সমস্যা হলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আন্তরিকতায় সে মুগ্ধ। সে আরও জানায়, দেশে ফিরে গিয়ে বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানাবেন এবং মনিরুলকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবেন।
মনিরুল জানায়, ‘আমি জুলিজাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত। বিশ্বাস করতে পারেনি জুলিজা তার ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে আসবে। মনিরুলের মা মনোয়ারা বেগম জানায়, বিদেশী মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে আমি খুশি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।