মঙ্গলবার, মার্চ ২১, ২০২৩
Homeটাঙ্গাইল জেলাবন বিভাগের বাধায় বন্ধ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ

বন বিভাগের বাধায় বন্ধ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ

নিউজ ডেস্ক: বন বিভাগের বাধায় মধুপুর বনাঞ্চলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রয়েছে। বন বিভাগের দাবি, ওই জমি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের। তাই সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দাবি, ৮২ বছর আগে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

মধুপুর উপজেলার জলছত্র পঁচিশ মাইল এলাকা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের কাজ গত নভেম্বরে শুরু করার উদ্যোগ নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই সময় বন বিভাগ তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে সওজ বিভাগ ও বন বিভাগের মধ্যে চলছে আলোচনা।

সওজ টাঙ্গাইল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলিউল হোসেন দাবি করেন, সব কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করেই প্রকল্প পাস করা হয়েছে।

সওজ টাঙ্গাইল কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৪১ সালে ভূমি অধিগ্রহণ করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এই সড়ক দিয়েই জেলায় প্রথম বাস চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে রাস্তাটি ১৮ ফুট প্রশস্ত রয়েছে। আঞ্চলিক সড়কগুলো প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় মধুপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়কটি আরও ১৬ ফুট সম্প্রসারণ করে ৩৪ ফুট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে পার্শ্ব সড়ক নির্মাণ করা হবে।

সড়কটির টাঙ্গাইল জেলা অংশের মধুপুর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা। এই অংশের কাজ করছে তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা গত জুন মাসে ওই সড়কের কাজ শুরু করে। মধুপুর উপজেলা সদর থেকে জলছত্র পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের সম্প্রসারণকাজের ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

সওজ বিভাগের মধুপুর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই সড়কে ৭০ থেকে ৮০ ফুট জায়গা সওজ বিভাগের রয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণ করার পর ৪০ ফুট ব্যবহৃত হবে। সড়কের বাইরে আরও অনেক জায়গা তাঁদের রয়ে যাবে। এরপরও বন বিভাগ নির্মাণকাজ করতে দিচ্ছে না।

দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রজমান। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই জলছত্র থেকে রসুলপুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের কাজ করতে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিচ্ছেন। তাই তাঁরা নির্মাণকাজ চালাতে পারছেন না।

তবে ওই জমি সওজ বিভাগের নয় বলে দাবি করেন টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এটি বন বিভাগের সংরক্ষিত

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -