নিজস্ব প্রতিনিধি: জমশের নগর ভি.এস.আই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম। বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ইন্দারজানি টিকুরিয়া পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত জুব্বার আলী। এ গ্রামের প্রায় অধিকাংশ জমিই বন বিভাগের। বনের জমিতে প্রায় ৩ সহস্রাধিক পরিবার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে রয়েছেন। এলাকায় আবুল হাশেমের ঘরবাড়ি না থাকায় ৩ মেয়ে ও পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সখীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেখান থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হয় কর্মস্থলে।
সম্প্রতি এলাকায় থাকার জন্য ঋণ করে ঘর তুলেন আবুল হাশেম। নির্মিতব্য সেই ঘরটি বুধবার দুপুরে বন বিভাগের লোকজন ভেঙে দেয়। এখন বাকি জীবন বাসা ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তান নিয়েই কি থাকতে হবে স্কুলশিক্ষক আবুল হাশেমকে ?
স্কুলশিক্ষক আবুল হাশেম জানান, এলাকায় থাকবার জন্য কোন ঘর নেই। তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। মেয়ে তিনটিই বড় হয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন কলেজ-ভার্সিটিতে পড়ালেখা করছে। তাদের বিয়ে দিতে হবে। সেই দিক বিবেচনা করে বাপ-দাদার জমিতে ঘর নির্মাণ করি। বন বিভাগের লোকজন সেই ঘরটি ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করি। অসুস্থ শরীর নিয়ে সখীপুর থেকে ক্লাস নেওয়া অনেক কষ্টকর। ইন্দারজানি মৌজা ছাড়া আমার কোন জমি নেই। এ মৌজার প্রায় সব জমিই বন বিভাগের। বনের জমিতে অনেকগুলো বাড়িঘর রয়েছে এবং নির্মাণ হচ্ছে। এখানে শুধু আমার ঘরটিই ভাঙ্গা হলো ?
স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা সৈয়দ আবদুল মালেক বলেন, ঘর তুলতে স্কুলশিক্ষক আবুল হাশেম অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন। সর্বশেষ ঘর নির্মাণও করেছিলেন। কিন্তু বন বিভাগের লোকজন সে ঘরটি ভেঙে দিয়েছে এতে তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, বনের জমিতে ঘর দিতে গেলে বন কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হয়। মনে হচ্ছে হাশেম মাষ্টার টাকা দেয়নি তাই ঘরটি ভাঙ্গা হয়েছে। যদি তাই না হয় তাহলে এ মৌজায় প্রায় ৩ হাজার ঘরবাড়ি রয়েছে সেগুলো ভাঙ্গা হলো না কেন ?
এ বিষয়ে ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই আমি স্যারের সামনে আছি, পরে ফোন দেন। পরে আবারও তাকে ফোন দিলে মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।