এনায়েত করিম বিজয় :
জন্মের পরই কোন পাষান্ড হৃদয় ফুটফুটে ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে। যে নব্য শিশুটি থাকার কথা স্নেহের আঁচলে মোড়ানো মমতাময়ী মায়ের কোলে অথচ কি দূর্ভাগ্য শিশুর। সেই নবজাতক শিশুটির স্থান হল নির্জন একটি পাটক্ষেতে। মানবিক দিকদিয়ে বিচার করলে বিষয়টি কতটা অমানবিক ? এমন প্রশ্নই স্থানীয়দের। এ অমানবিক বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যে’র সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ১২ জুলাই টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ী এলাকার একটি নির্জন পাটক্ষেত থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসছে। রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি দ্রুত কাছে গিয়ে দেখতে পান কাপড়ে মোড়ানো একটি শিশু। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক এলাকায় জানাজানি হলে আশেপাশের লোকজন শিশুটিকে একনজর দেখার জন্য ভির জমায়। উদ্ধার হওয়া শিশুটি কার এনিয়ে জনমনে নানা কল্পনা জল্পনা চলছে।
আগত লোকদের প্রশ্ন অজ্ঞাত পরিচয়হীন নবজাতক এই শিশুটি কার? কার পাপের বোঝা বহন করছে এই নিষ্পাপ শিশুটি? কোন পাষান এভাবে অবুঝ শিশুটিকে নির্জন পাটক্ষেতে ফেলে যায়? এর সাথে জড়িতদের পরিচয় কখনো পাওয়া যাবে কি ?
শিশুটি বর্তমানে বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে রয়েছে। রফিকুল ইসলাম ৭ মাসের এক কন্যাসহ ৩কন্যার জনক। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে এই নবজাতক ছেলে শিশুটি। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে আব্দুল আলিম। শিশুটির বয়স আজ ৮দিন। শিশুটি এখন ৭ মাসের কন্যা শিশুর সাথে তার মায়ের দুধ ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। এখানো শিশুটির কোন পরিচয়র পাওয়া যায়নি।
শিশুটিকে উদ্ধারকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ৭ মাসের কন্যাসহ ৩জন কন্যা রয়েছে। শিশুটিকে আমি আমার সন্তানের মতো করেই লালন পালন করব। এ জন্য আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমি মনে করি আল্লাহ তায়ালা আমাকে ৩জন মেয়ে’র পর এই পুত্র সন্তান দান করেছেন।
স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, নবজাতকের পরিচয় না পাওয়ায়, শিশুটি উদ্ধারকারী রফিকুল ইসলামের হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। শিশুটির পরিচয় উৎঘাটনের জোর চেষ্টা চলছে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।