শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
Homeটাঙ্গাইল জেলাবাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২৩ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাজী শহীদুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে কায়েদী আজম।

তিনি বলেন, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাশিল এগ্রো কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শহীদুল ইসলাম শীর্ষ প্রতারক। তিনি গ্রামের সহজ সরল লোকদের ভুল বুঝিয়ে প্রতারণার চক্রে ফেলিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুক্তভোগী কায়েদী আজম বলেন, কাশিল এগ্রো কোম্পানি লিমিটেড-এর ২৫ একর জমির নামে মৎস হ্যাচারী করেন। সে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে, মিথ্যা কথা বলে, বিভিন্ন ক্ষতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। খুলনার হ্যাচারী করার কথা বলে ব্যাংক থেকে দশ কোটি টাকা লোন নেবে বলে দলিলের মধ্যে আমাদের সকলের সই নেন। শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ৫/৬ মাসে তিন ধাপে নিয়ে আসে। এই টাকা আনতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লাগে বলে সে ওই টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও কাশিল এগ্রো কোম্পানি লিমিটেড-এর বিদ্যুৎ আনার কথা বলে ১২ লাখ টাকা ঘুষ দেখিয়ে আত্মসাৎ করে। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করে।

ভুক্তভোগী কায়েদী আজম আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল থানা আমলী আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং- সিআর-৫৫। কাজী শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মুন্সি ছাড়াও তার সহযোগী উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে পিচুরী গ্রামের মৃত কুরজত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বাসাইলের পিচুরী গ্রামের মৃত কুরজত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, একই এলাকার মন্টু মিয়া, হেনা বানু, মির্জাপুরের জামুর্কী পাকুল্ল্যার শাহনাজ পারভীন ও সুফিয়া বেগম, কুমুল্লীর শামছুন্নাহার পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাকে একটি চক্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের অভিযোগ তুলেছে। এটি সম্পুর্ন মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, এ হ্যাচারীটির মালিক ৬জন। কায়েদী আজমের রড় ভাই আলী উৎপাদনের জন্য এক বছর হ্যাচারীটি পরিচালনা করে। সে কোন হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে হঠাৎ করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ চলে যায়।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -