টাঙ্গাইলে রোববার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। পাল্টাপাল্টি হামলার এই ঘটনায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব চত্বর রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই হামলায় পুলিশের দুই সদস্যসহ ৫০জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ এবং ১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় বিএনপির ১০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি চলার সময় বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যাযে পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে ইট পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় প্রেসক্লাব ও আশ পাশের এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পথচারী এবং যানবাহন চালকসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহী গ্রুপ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ও কমিউনিটি সেন্টারের দরজা-জানালা ভাঙ্গচুরও করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। হামলার খবর পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক লাঠি চার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির বিদ্রোহী একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিকভাবে হামলা চালায়। আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।’