ভালুকায় মাল্টা ও লেবু বাগানের ৭ হাজার  গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ

0
118
ভালুকা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলার ঝালপাজা গ্রামে  এগ্রো প্রজেক্টের মাল্টা ও লেবু বাগানের ৭ হাজার মাল্টা ও লেবুর চারা গাছ উপড়ে ফেলেছে স্থানীয় বনবিভাগ। বুধবার বিকেলে চারা উপড়ানো এ ঘটনা ঘটে। বাগান মালিকের দাবী বনবিভাগের হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী কে ঘুষের ৫লাখ টাকা না দেয়ায় ক্ষোব্ধ হয়ে ওই বাগানের ৬মাস বয়সি এসব মাল্টা ও লেবুর চারা গাছ উপড়ে ফেলে হয়। তবে বিট কর্মকর্তা ঘুষের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম রিয়াজ ও রিপন মিয়া ওই মৌজার ৬টি দাগে ২০১১ সালে ১০ একর জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমির মধ্যে দু’টি দাগে বনের গেজেটভূক্ত হওয়ায় এ নিয়ে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ৬/১৫ এবং ৩২/১৮ মামলা রুজু করে বনবিভাগ।
দু’টি মামলায় ফরেস্ট সেটেলমেন্ট আদালত থেকে রেজাউল করিম রিয়াজ গংদের পক্ষে আসে। রায় পেয়ে রেজাউল করিম রিয়াজ গং ৬ মাস পূর্বে  ওই ৬ একর জায়গায়  ৭ হাজার মাল্টা ও লেবুর চারাগাছ রোপন করেন।
পরবর্তীতে বনবিভাগ ময়মনসিংহের বিভাগী কমিশনার বরাবর মিস মোকদ্দমা দায়ের করিলে চলতি অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ আপিলে রায় বন বিভাগের বিপক্ষে ও রেজাউল করিম রিয়াজ গংদের পক্ষে আসে। মালিকদের স্থানীয় কেয়ারটেকার মোঃ রাসেল মিয়ার দাবী বাগানের চারা রোপনের সময় বনবিভাগের হবিরবাড়ি বিট অফিসার দেওয়ান আলীর বাঁধা দিয়ে ১০লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। মালিকের সাথে যোগাযোগ করে তাকে তখন ৫লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছি।
সম্প্রতি আপিল মিস মোকদ্দমার রায় মালিকের পক্ষে আসায় ঘুষের বাকি টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করলে ক্ষুব্দ হয়ে বিট অফিসার দেওয়ান আলী বনভিাগের বিভিন্ন বিটের লোকজন নিয়ে ৭ হাজার মাল্টা ও লেবুর চারা গাছ উপড়ে ও কেটে ফেলে পুরো বাগান ধ্বংস করে দিয়েছে।
এতে প্রায় পক্ষাশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে বিট অফিসার দেওয়ান আলী  ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে এ প্রতিনিধি কে জানান, আমরা বনের জমি উদ্ধার করেছি। বাগানের মাল্টা ও লেবুর চারা রোপন করার সময় কেন বাধা দিলেন না, এমন প্রশ্ন করা হলে, তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।