নিজস্ব প্রতিবেদক: ছোট ভাই নূরুল আমিনের (৫৮) মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন বড় ভাই মো. আবুল হোসেন (৭২)।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করে বড় ভাই মো. আবুল হোসেনের তার মৃত্যু হয়েছে।

তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চর নিকলা গ্রামে। তারা মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।

ছোট ভাই নূরুল আমিন ভূঞাপুর শহীদ জিয়া মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন এবং তার বড় ভাই আবুল হোসেন যমুনা ফার্টিলাইজার সারকারখানায় চাকরি করতেন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নিজ গ্রাম চর নিকলা কবরস্থানের পাশের একটি নূরানী মাদরাসায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। রোববার মাগরিব নামাজের পর তার ছোট ভাই নূরুল আমিনের প্রথম জানাজা ভূঞাপুর শহীদ জিয়া মহিলা কলেজে ও এশা নামাজের পর রাত ৯টায় গ্রামের বাড়ির মাদরাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। দু’ভাইয়ের লাশ পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।

এরআগে একইদিন সকালে সকাল ৯টা দিকে বড় ভাই আবুল হোসেনকে হাসপাতালে দেখতে ও নিজেকে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (স্ট্রোক) হয়ে তার ছোট ভাই নূরুল আমিনের (৫৮) মৃত্যু হয়।

স্বজনরা জানায়, কলেজের সহকারী অধ্যাপক নূরুল আমিনের বড় ভাই আবুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগের কারণে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত রোববার বড় ভাইকে দেখতে যান নূরুল আমিন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। পরে একই দিন সন্ধ্যায় স্বজনরা তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করে বড় ভাই আবুল হোসেনও মারা যায়।

অলোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চর নিকলা গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে স্ট্রোক জনিতকারণে কলেজের সহকারী অধ্যাপক নূরুল আমিনের মৃত্যু হয়। পরে সন্ধ্যায় এ বিষয়টি অসুস্থ বড় ভাই আবুল হোসনকে জানালে কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যায়। তাদের মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে শোকের মাতম বইছে।