এম সাইফুল ইসলাম শাফলু:
আবারও আওয়ামীলীগ ভাবতেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় যাবে। ভোট হলে আওয়ামী লীগের নির্ঘাদ পরাজয় হবে। আর যদি ভোট না হয় তাহলে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করবে। আর এতেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। গণতন্ত্রের রাজনীতি মানুষকে খুশি রাখে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দেশের মানুষ খুশি না। এমন এক সময় আসবে যখন আওয়ামী লীগ বেরুবার পথ পাবে না। বুধবার বিকেলে দিঘিরচালা বাজারে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিরোত্তম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বীধীনতার পর হাসানুল হক ইনু’র গণবাহিনী হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। সেই ইনু আজ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী তারাই আজ দেশ চালায়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার নেতা ছিলেন। যুদ্ধ শেষে আমি আমার সেই নেতার কাছে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলাম। এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্য। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ওই দিন যদি বঙ্গবন্ধু দেশে না আসতেন তাহলে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করছে। আমি নিশ্চিত সারা দেশে আরো ৬০ লাখ মানুষ মরতো যারা স্বাধীনতা বিরোধিতা করতো। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারছিলেন বলেই তিনি সঠিক সময়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগ শুধু টাকা পয়সা চুরিই করেনি। পদ্মা সেতুর মতো অনেক ভাল কাজও তারা করছে। সমাবেশে কাকড়াজান ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রিয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীরপ্রতীক), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হালিম সরকার লাল, সখীপুর শাখার সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রিয় যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।