মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার
সখীপুরে ফসলি জমির উর্বরতা হ্রাস
এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ফসলি জমির উর্বরতা দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। এতে করে কৃষকরা চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট, বমি, মাথাঘোরা, আমাশয়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে ধান, সরিষা, পাট ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসলে সখীপুরে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কৃষি প্রশিক্ষণে কৃষকদের ফসলে ও ফসলি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিলেও তা সচেতনার জন্য যতেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলার যাদবপুর গ্রামের কৃষক মরতুজ সিকদার জানান, আমগাছ প্রতি গড়ে ২০ থেকে ২৫০ গ্রাম, ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি গড়ে ২০০ গ্রাম করে তরল কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সবজি চাষে প্রতি তিন দিন অন্তর কীটনাশক ছিটাতে হয়। মৌসুমে সবজিক্ষেতে বিঘাপ্রতি তরল কীটনাশক প্রয়োজন হয় গড়ে ২ কেজি করে। সবচেয়ে বেশি কীটনাশক ব্যবহার করা হয় আমের মুকুল ও ধানক্ষেতে। এছাড়া পাট, সরিষা ও সবজি চাষেও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের সুফল-কুফল বিষয়ে কৃষকদের পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় দিন দিন তারা কীটনাশকের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জমিতে কীটনাশক সঠিক পরিমাপে ব্যবহারের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে মাঠ দিবস করে এবং বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাফিউল করিম খাঁন বলেন, অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষকরা চর্মরোগ ও শ্বাসকষ্টসহ জটিল ও কঠির রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।