নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মালয়েশিয়ায় চলমান নিয়ন্ত্রণ আদেশ মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) আওতায় বিদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেকেন্ড হোমের নাগরিকদের প্রবেশের
অনুমতি দিল সেদেশের সরকার। যার কারণে প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি সেকেন্ড হোমের নাগরিকরা (যারা দেশে অবস্থান করছে) ফিরতে পারবে যেকোনো সময়।
দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী ন্যান্সি শুকরি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৭ মে থেকে যাদের সেকেন্ড হোমের ভিসা আছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যারা ডিপেন্ডেবল ভিসায় আছে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারবে। তবে যারা ফিরবে তাদেরকে অবশ্যই সরকার নির্ধারিত স্থানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যাবতীয় খরচও তাদেরকে বহন করতে হবে। এছাড়া কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এমসিও মেনে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
মালয়েশিয়া সরকারের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণার পর বিভিন্ন দেশে আটকে আছে ২৫৩ জন সেকেন্ড হোমধারী। তবে তার মধ্যে কোন দেশের কতজন নাগরিক আছে তা উল্লেখ করেনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।এর আগে লকডাউনের মধ্যে দেশটিতে মালয়েশিয়ান নাগরিক ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সেদেশের সরকার। শেষ পর্যন্ত সেকেন্ড হোমের নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়।
উল্লেখ্য, বিগত নাজিব রাজ্জাকের সরকারের আমলে মালয়েশিয়ার ইকোনমি শক্ত করতে এবং মালয়েশিয়াকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোমের সুযোগ দেওয়া হয়। বেশ চলছিল সে কার্যক্রম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের ৪ হাজার নাগরিকও আবেদন করেছিল মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের জন্য। এদের মধ্যে বহু বাংলাদেশি পরিবার-পরিজন নিয়ে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের সুযোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে বসেছে। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের আবেদন করেছিল তা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।
মালয়েশিয়ার বিদায়ি মাহাথির মোহাম্মদের সাবেক ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আজিজা জানিয়েছিলেন, নাজিব রাজ্জাকের সরকারের আমলে চালু হওয়া সেকেন্ড হোমের আবেদনকারীদের আমরা শুধু ১০ বছরের ভিসা দেব। কিন্তু এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। মালয়েশিয়া সরকারের রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’-এ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের আমলা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নানা পেশার চার হাজারের বেশি নাগরিক ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছে। এর মধ্যে অনেকে সপরিবারে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে।
মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অ্যান্ড ট্যুরিজম আর্টস অ্যান্ড কালচারের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য (২০১৮ সালের জুন) অনুযায়ী পৃথিবীর ১৩০টি দেশের ৪০ হাজার নাগরিক ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে’র (এমএম২এইচ) বাসিন্দা হয়েছে। যারা দেশটিতে সেকেন্ড হোমের বাসিন্দা হয়েছে তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে চীনা ও দ্বিতীয় জাপানিরা। আর তালিকার তৃতীয় স্থানেই রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।