টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের মামলায় আনাইতারা ইউপি চেয়ারম্যান, পাঁচ ইউপি সদস্য ও দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন। টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান টিটু তদন্ত শেষে সোমবার টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার আসামিরা হলেন আনাইতারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মিয়া, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাশারফ হোসেন ও সংরক্ষিত (নারী) ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম এবং আটিয়া মাহমুদপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ও ধলু মিয়া।
এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে সরকারি চাল আত্মসাত করে মজুদ এবং বিক্রি ও বিক্রির কাজে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর মির্জাপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পরিত্যাক্ত পোস্ট অফিস ভবনে এবং আটিয়া মাহমুদপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে দুই চাল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৯০ কেজি ভিজিএফের চাল উদ্ধার করেন।
ওই দিনই মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক কমল সরকার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি চাল ব্যবসায়ী ধলু মিয়া কারাগারে আছেন। তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
অপর চাল ব্যবসায়ী মামলার আসামি হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান। ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও পাঁচ ইউপিসদস্য মামলার আসামি পলাতক রয়েছেন বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে।
আনাইতারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মুফোফোনে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন তাকে ও ৫ ইউপি সদস্যসহ ৮জনকে আসামি করে চুড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগ। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিবেন বলে উল্লেখ করেন।