নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে নতুন করে কোনো লাইসেন্স দেওয়া হবে না অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের এমন বক্তব্যে বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান বলেছেন- আমরাও চাই অবৈধ ইটভাট বন্ধ হোক।
তিনি বলেন, ইটভাটা করতে না দিলে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করেছি। কিন্ত আমাদের সঠিক নিদের্শনা দিতে হবে। মুখ দিয়ে বলবেন এগুলো বন্ধ করে দিব, এটা মগের মুল্লুক নয়। এ ধরণের কথা আমরা কারও কাছ থেকে আশা করি না। যৌক্তিকভাবে আমাদের বলবেন, আমরা যৌক্তিকভাবে সহযোগিতা করব।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রিপোর্টার ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফিরোজ হায়দার খান বলেছেন- সারা দেশে ৮ হাজারের উপরে ইটভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটায় প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মশক্তি হল ইট ভাটার শ্রমিক। ইট ভাটায় ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এর সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন জড়িত রয়েছে। ইট ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা এ সরকাররে সহযোগিতা করতে চাই। ইটের বিকল্প এখনো কিছু গড়ে উঠেনি। আমরা পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টার সাথে বসে এসব ব্যাপার আলাপ করর।
তিনি আরও বলেন- ২০০১ সালে ড্রাম চিমনি বন্ধ করা হয়। কিন্ত এখনো ড্রাম চিমনি চালু রয়েছে। ২০০৭ সালে আবার ফিক্সট চিমনি করা হয়। কিন্ত ফিক্সট চিমনি পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে পরিবেশ বান্ধবের কারণ দেখিয়ে জিকজাক পদ্ধতিতে ইটভাটা করা হয়। এসব পরিবর্তন করতে আমাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সরকারের এমন নীতিমালা না থাকার কারণে দেশের জন্য মঙ্গল নয়।