সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
Homeসখিপুরআমাদের সখীপুরযুদ্ধের ঘটনা ..........মাে. আবু হানিফ আজাদ

যুদ্ধের ঘটনা ……….মাে. আবু হানিফ আজাদ

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমার সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হইল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়ায়। ৫২ ঘন্টা যুদ্ধের মধ্যে মাত্র কিছু মুড়ি ও কাঠালের বােয়া খাই। দেওপাড়া বাজারের উত্তর পাশে পুকুরে আমরা পজিশন নিয়া যুদ্ধ করি। কালিহাতী থেকে পাক বাহিনী পূর্ব দিকে দেওপাড় ঢুকবে আমরা (মুক্তি বাহিনী) পশ্চিম মুখে ডিফেন্স দিয়ে তাহাদের (পাক বাহিনী) কে প্রতিরােধ করবাে। যাহাতে দেওপাড়া ঢুকতে না পারে।

পাক বাহিনী উপর দিয়ে প্রথমে হেলিকপ্টার পরে বিমান দিয়ে যখন গুলি বর্ষন করে তখন অর্থাৎ ৫২ ঘন্টা যুদ্ধের পরে আমরা (মুক্তি বাহিনী) ডিফেন্স ছেড়ে দিয়ে পূর্ব দিকে এসে বর্গা বাজারে চলে আসি। সেই যুদ্ধ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন কাদেরিয়া মুক্তিবাহিনীর ১নং কম্পানি কমান্ডার জনাব লােকমান হােসেন।

আমার সাথে উল্লেখ যােগ্য মুক্তিবাহিনী যাহারা ঐ যুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তারা হল সখীপুর উপজেলার গােহাইল বাড়ি গ্রামের জনাব রফিকুল ইসলাম, কাহারতা গ্রামের জনাব আ: হালিম ও আবুল হােসেন এবং গড়গােবিন্দপুর গ্রামের জনাব শেখ মােহাম্মদ হাবিব সহ ৩০ থেকে ৩৫ জন মুক্তিযােদ্ধা ছিলাম। আমাদের কাছে ছিল ৩০৩ রাইফেল আর পাকি বাহিনীর নিকট ছিল মর্টার সেল, রকেট ল্যান্সার এল.এম.জি সহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করতাে।সম্ভবত জুনের ১ম সপ্তাহে এই যুদ্ধটি হয়েছিল। কয়েকজন পাক বাহিনী সহ ৩/৪ জন রাজাকার নিহত হয়।

তাছাড়া বল্লা, ভূয়াপুর, চারান, মধুপুর, মমিননগর, বৈলারপুর, কামুটিয়া, ধলাপাড়া, মাকড়াই, গর্জনা, মরিচা ও আকন্দের বাইদে যুদ্ধে সক্রীয়ভাবে অংশ গ্রহণ করি।

মাে. আবু হানিফ আজাদ

মেয়র, সখীপুর পৌরসভা, টাঙ্গাইল।

তথ্যসূত্র: বীরভূমি সখীপুর

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -