নিউজ ডেস্ক : সুজন সম্পাদক ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, একটি সমাজ কতটা সভ্য তা নির্ভর করে সে দেশের অপেক্ষাকৃত দুর্বল জনগোষ্ঠী কতটা ভালো আছে তার ওপর। সমাজে নারীরা এখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং তারা বিভিন্ন অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার। তিনি বলেন, নারীর ওপর সবচেয়ে বড় নির্যাতন হলো যৌন নির্যাতন। আমরা মনে করি, নির্যাতন রোধে প্রথমত একটি সমন্বিত আইন হওয়া দরকার।’
শনিবার ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান সম্মেলন কক্ষে ‘সকল ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য খসড়া আইন, ২০১৮’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্স-এর সহায়তায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, ‘যৌন হয়রানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে, পথে, ঘাটে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্র সর্বত্রই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা এবং আদালতের নির্দেশনা না জানা অথবা জানলেও তা না মানার কারণে কমছে না যৌন হয়রানির ঘটনা। বর্তমানে যৌন হয়রানি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটি এখন শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে। সমস্যাটিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন মাত্রা। এক হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতি দশ জন নারীর মধ্যে নয়জন নারীই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন হয়রানির শিকার হন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রণয়নের দীর্ঘ নয় বছর পরেও কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও সকল ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন অপরিহার্য।’ সভার শেষ পর্যায়ে একটি সমন্বিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির জন্য চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়।