মোঃ মনির মন্ডল, ঠাকুরগাও থেকে ফিরেঃ ঠাকুরগাও জেলার রানীশংকৈর থানার কোচাল বিওপি ৪২ বিজিবি সদস্যরা এক বছরের বেশি সময় ধরে মাদক মামলায় ফাঁসানোর একই কাজ করে আসছে। বাড়ি, বাজার, বাগান থেকে তুলে নিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে রেখে পরে মাদকের মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা। এরই ধারাবাহিকতায় এই মাসের ২২ সেপ্টেম্বর কোচাল এলাকায় একটি লিচু বাগান থেকে আতিক হাসানসহ তিনজন যুবককে জোর করে উঠিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্ররবার দুপুরে কোচল এলাকায় আতিক হাসান তাদের লিচু বাগানে গেলে তার মামা রুবেলের সাথে মারা মারি ঘটনার পরে ৪২ বিজিবি নায়েব সুবেদার মোঃএরশাদুল হক তিনজনকে আটক করে নিয়ে যায়।
আতিকের বাবা আকাশ মিয়া বলেন, গত ২২শে সেপ্টেম্বর আমার নাবালক ছেলে আতিকুর রহমান একজন কৃষকসহ নিয়ে অটোরিকশা দিয়ে লিচু বাগানে কাজ করতে যায়। বাগানে কাজ করতে গেলে কাজে বাধা প্রদান করেন আমার দিতে স্ত্রীর বড় ভাই ও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন। বাগানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনায় আমার ছেলে আতিক ও কৃষক সুমন আলী গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত সংবাদ শুনে আমি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাইনে কল দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। ঘটনাস্থলে রানীশংকৈর থানার পুলিশ গিয়ে আমার ছেলেকে আহত দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়েরের কথা বলে চলে যায়। পরে কোচাল এলাকার ৪২ বিজিবির নাযেব সুবেদার মোঃ এরশাদুল এর নেতৃত্বে আমার ছেলেসহ তিনজনকে জোর করে তুলে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। রাতে রাণীশংকৈর থানায় আমার ছেলে আতিক,কৃষক শ্রমিক সুমন আলী ও অটোরিকশা চালক রহমত আলীকেসহ প্রতিজনকে ৪৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে থানায় হস্তান্তর করেন।
তিনি আরো জানান, আমার ছেলে আতিক অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন। আমার ছেলেকে বিজিবি সদস্যরা ১৯ বছর দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার ৭/৮ মাস আগে দোকান থেকে তুলে নিয়ে বিজিবি সদস্যরা একইভাবে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে চালান দেয়। ২৩ শে সেপ্টেম্বর ঠাকুরগা জেলা আদালতে আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন কাগজ ও স্কুল সার্টিফিকেট প্রদান করিলে জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে মোটো ফোনে জানতে চাইলে ৪২ বিজিবি কোচাল ক্যাম্পের নাযেব সুবেদার মোঃ এরশাদুল হক বলেন, এবিষয়ে পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে তার সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।