নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সঙ্গে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন সেটা আরও বিকশিত করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতপূর্বে ঢাকা-বেজিং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন। বাংলাদেশে কৃষির অপার সম্ভানা রয়েছে সেক্ষেত্রে কৃষিজাত পন্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীনের সহযোগিতা চায়।
সোমবার কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে তাঁর অফিসকক্ষে চীনের ভাইস মিনিস্টার (শুল্ক ও সাধারণ প্রশাসন) ঝাং জিওয়েন (গৎ. তযধহম ঔরবিহ) সাক্ষাত করতে আসলে এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন; খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিতে চীনের সহযোগিতা চাই। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে চীনের কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। যেহেতু চীনের বাজার বেশ বড়, সেখানে বাংলাদেশ তাদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত পন্য রপ্তানী করবে।
ঝাং জিওয়েন বলেন; চীন বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের পদ্মা সেতুসহ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে চীন। চীন বাংলাদেশ হতে রাইস ব্রান আমদানী করতে চায় এছাড়া বাংলাদেশ যেসব কৃষিজাত পন্য চীনে রপ্তানী করতে আগ্রহী সে সম্পর্কে বাংলাদেশে চীনের অ্যাম্বাসিকে অবহিত করার জন্য বলেন। বাংলাদেশ হতে কৃষিজাত পন্যসহ অন্যান্য পন্য আমদানির ক্ষেত্রে কোন বাধা বিপত্তির অবকাশ থাকবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয় তুলে ধরেন মি: ঝাং।
বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের সহযোগিতা চান কৃষি মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে চীনের ভাইস মিনিস্টার বলেন এ ব্যাপারে তারা আর্ন্তজাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলবেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে চীন অংশিদার হতে আগ্রহী।
সাত সদ্যসের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন চিনের শুল্ক আদায় বিভাগের উপ মহাপরিচালক সান রেনউ ,, ব্যুর অব আমদানি উপ মহাপরিচালক ইউ ওয়েঞ্জুন, রপ্তানি নিরাপদ খাদ্য চেন ইউ, উপ মহাপরিচালক জিয়ামেন কসটিউম ডিসট্রিক্ট, ভাইস মিনিস্টারের সচিব চেন ইউই, উপ মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগ জিইউ ঝিকিন। এ সময় চীনের উদ্ভাবিত সুপার রাইস নিয়েও কথা হয়। কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন।