নিউজ টাঙ্গাইল ডেস্ক: প্রশাসন থেকে বারবার পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদের কথা বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় কবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৩৩শ পরিবারের জন্য। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। নামমাত্র ত্রাণ পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্যার্তরা।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পর্যায়ক্রমে ত্রাণ সহায়তা চলবে। বন্যা শুরু হওয়ার ৭দিন পর শুক্রবার (১৮ আগস্ট) উপজেলার গোবিন্দাসী ও অর্জুনা ইউনিয়নের এক হাজার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলায় এবারের বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ এখনও ত্রাণ সহায়তা পাননি।
উপজেলা প্রশাসন থেকে শুক্রবার দুটি ইউনিয়নে নাম মাত্র ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করায় বন্যার্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকেই ত্রাণ বিতরণের কথা জানেন না বলেও অভিযোগ করেন।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া গ্রামের রতন চন্দ্র জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ দিচ্ছে এমন কথা শুনিনি। অথচ প্রায় ৮ দিন ধরে পানির উপর বাস করছি। এক বেলা খেয়ে দু-বেলা না খেয়ে থাকছি।
ত্রাণ নিতে আসা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ৫ কেজি চাল দিয়ে কী করমু? নামমাত্র চাল নিতে পানিতে ভিজে আসতে হয়েছে। আগে জানলে আসতাম না। বন্যার্ত অনেকে ত্রাণ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু জানান, বন্যার্ত ৪শ’ পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
অজুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মোল্লা জানান, ইউনিয়নের এক হাজার পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল ও ১৫০ জনকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথকভাবে নগদ টাকা ও চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার অজুর্না ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নে ১৪শ’ পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল ও ১৫০ জনকে শুকনো খাবার বিতরণ দেওয়া হয়। গাবসারা ও নিকরাইল ইউনিয়নে শনিবার ত্রাণ বিতরণ করা হবে।