‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এগুলো সবার মনের কথা হলেও আমাদের দেশের কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর মুখের কথা হয়নি। এরা তাদের দলীয় স্বার্থে সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পত্রপত্রিকায় বিবৃতি দেন। টক শোতে কথার খই ফোটান। কিন্তু এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কখনও বৃষ্টিতে ভিজে, কখনও প্রখর রৌদে দাঁড়িয়ে আমাদের সন্তান তুল্য শিক্ষার্থীরা যখন জীবনের নিরাপত্তা, স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা আর ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার-তখন এইসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, দলীয় সাংবাদিকরা অজ্ঞাত কারণে নিশ্চুপ।’
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি-এর উপস্থাপক হানিফ সংকেত এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমাদের অনেকেরই অনেক কিছু শেখার আছে। ওদের প্রতিবাদ দেখে আনন্দে-আবেগে চোখ ভিজে গ্যাছে। আর কোন হতাশা নয়। ওরাই আমাদের সোনালী ভবিষ্যৎ। আমি নিশ্চিত ওদের হাতেই গড়ে উঠবে আগামী দিনের সুস্থ, সুন্দর, ব্যাধিমুক্ত বিশ্বসেরা বাংলাদেশ।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরের দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন শিক্ষার্থী।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পরিবহন শ্রমিকনেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগসহ ৯টি দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে গত পাচঁদিন ধরে আন্দোলন করছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।