রবিবার, মার্চ ২৬, ২০২৩
Homeটাঙ্গাইল জেলাশীতের শুরুতেই টাঙ্গাইলের শাল-চাদরের কদর বেড়েছে

শীতের শুরুতেই টাঙ্গাইলের শাল-চাদরের কদর বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘শাল-চাদর তৈরির সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির ফলে অনেকেই তাঁত বিক্রি করে বিদেশ চলে গেছেন। কেউ কেউ অল্প পুঁজি নিয়ে শাল-চাদর তৈরির চেষ্টা করছেন’

শীতের শুরুতেই টাঙ্গাইলের শাল-চাদরের কদর বেড়েছে। হিমেল ঠাণ্ডা বাতাসে শরীর গরম রাখতে সব বয়সী মানুষের জন্য প্রয়োজন শীতের পোশাক। বিষয়টি মাথায় রেখে দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিরা তৈরি করে আসছেন শাল-চাদর।

বাহারি ডিজাইন আর নিপুণ কারুকাজে আকর্ষণীয় শীতের পোশাক শাল-চাদর পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি নারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার শাল-চাদর। নাগরপুর উপজেলার পংবাই জোড়া, কেদারপুর এবং দেলদুয়ার উপজেলার আবাদপুর ও এলাসিন গ্রামে তৈরি হচ্ছে বর্তমান ফ্যাশন উপযোগী এই চাদর।

গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রায় ৬০০ পরিবারের জীবিকার উৎস শাল-চাদর তৈরি ও বিক্রি। বাহারি রঙের সুতা, হাত ও তাঁতকলের সাহায্যে আকর্ষণীয় কারুকার্যে তৈরি করা হয় এসব শাল-চাদর।

তাঁত শ্রমিক রফিক ও শাহীন জানান, সারা বছর শাড়ি তৈরি করা হয়। আর শীত মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত তারা শাল-চাদর তৈরি করেন। একজন শ্রমিক দিনে হাতে ৮টি তাঁতের চাদর বুনতে পারেন। আর হ্যান্ডলুম মেশিনের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৫টি শাল-চাদর তৈরি করা সম্ভব।

তাঁত মালিক নির্মল বসাক বলেন, “শাল-চাদর তৈরির প্রধান প্রতিবন্ধকতা সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি। ফলে অনেকেই তাঁত বিক্রি করে বিদেশে চলে গেছেন, কেউ কেউ অল্প পুঁজি নিয়ে শাল-চাদর তৈরির চেষ্টা করছেন।”

টাঙ্গাইল জেলা তাঁত বোর্ডের লিয়াজো অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, “শীত উপলক্ষে তাঁতিরা শাল-চাদর তৈরি করছেন, যা দেখতে দৃষ্টিনন্দন এবং পাশাপাশি মূল্য সাশ্রয়ী। তাঁত বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁতিদের বিনা জামানতে ঋণ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”

 

 

নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন - "নিউজ টাঙ্গাইল"র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -