এম সাইফুল ইসলাম শাফলু :
টানা বর্ষণে সখীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সবজি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের আবাদকৃত কাঁচা মরিচ, পেপে, বেগুন, আঁদা, টমেটো, বিভিন্ন জাতের কচু, দেশি লাউ , করল্যা, ঢেঁড়শ, ধুমড়া, শশা, ও বিভিন্ন জাতের শাক সবজি পচন রোগে মরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সখীপুরের কৃষকরা। তাদের এ ক্ষতি পুশিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা। অতিবৃষ্টির কারণে গোড়াপচা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ জমির কাঁচা মরিচ ও পেপে গাছ মরে গেছে।
সরেজমিন উপজেলার দাড়িয়াপুর, কইয়ামধূ, বেতুয়া, যাদবপুর, তক্তারচালা, মহানন্দপুর, বাঘেরবাড়ি, ইন্দারজানী, বড়চওনা, কচুয়া, কতুবপুর, ইছাদিঘা, পাথারপুর, কালমেঘাসহ প্রায় অর্ধ শত গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এ মৌসুমের আবাদকৃত পেঁপে, কাঁচা মরিচ বেগুন, টমেটো, , লাউ, কুমড়া, করলা, কাকড়ল, ঢেঁড়শ,ধুমরা,ধনিয়াপাতাসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত টানা বর্ষণে পচে মরে যাচ্ছে। ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ওইসব এলাকার কৃষকরা সবজি চাষে ওই টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। আবাদকৃত প্রায় সকল ফসলই পচে মরে যাওয়ায় ঋণ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের পেঁপে চাষী কামরুজ্জামান মিয়া জানান, স্থানীয় দুটি এনজিও থেকে চার লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ও অন্যের এক একর জমি লিজ নিয়ে পেঁপে চাষ করেছিলাম। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে প্রতিদিনই ৮-১০টি করে পেঁপে গাছ মরে ওঠছে।
দাড়িয়াপুর গ্রামের হুমায়ন মিয়া বলেন, আমার দুই একর জমিতে কাঁচা মরিচ আবাদ করেছি। অতি বৃষ্টির ফলে মরিচ গাছ টলে গিয়ে মরে যাচ্ছে।
মহানন্দপুর গ্রামের বেগুনচাষী আনন্দ কোচ বলেন, শুরুতে বেগুন গাছের চেহারা সুন্দর থাকলে টানা বৃষ্টির ফলে গাছগুলো পঁচে মরে ওঠছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফায়জুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, এবার অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ,কচু, টমেটো ও বেগুণ চাষীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগবে বলে তিনি জানান।