এম সাইফুল ইসলাম শাফলু: টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে পাষ- স্বামী চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে (১৯) খুন করেছে। সোমবার ভোররাতে গুরুতর আহত স্ত্রী আকলিমা আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার কচুয়া বেপারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সখীপুর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার কালিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে জুয়েলের সঙ্গে একই উপজেলার কচুয়া বেপারীপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে আকলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্ত কলহ বাধে। এরই জের ধরে শনিবার ভোররাতে স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে স্বামী জুয়েল রানা নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করে। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে আটক করে রাখলে ইউপি সদস্য বাদল হোসেনের নেতৃত্বে জুয়েলের এলাকার মেম্বার শামছুল আলম, আবুল হাশেম ও বিল্লাল হোসেন মিলে তাদের জিম্মায় তাকে ছাড়িয়ে নেয়। তাঁর আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত আকলিমা আক্তারকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকলিমার মৃত্যু হয়।
আকলিমার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকতো। শনিবার ভোররাতে আমার বাড়িতেই আমার মেয়েকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা তাকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। দুইদিন চিকিৎসার পর সোমবার ভোররাতে আকলিমা মারা যায়। ঘটনার পরপরই জুয়েলকে আটক করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল হোসেনের নেতৃত্বে জুয়েলের এলাকার মেম্বার শামছুল আলম, আবুল হাশেম ও বিল্লাল হোসেন মিলে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নেয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।